তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে পতিত ফ্যাসিস্টদের প্ররোচনায় ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে কি-না, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তাবলিগের সাদপন্থি আলেমরা। তারা বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
এ সময় তারা জানান, তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত সাত বছর ধরে কাকরাইল মসজিদে জুবায়েরপন্থি ও সাদপন্থিরা পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে, এখন জুবায়েরপন্থিরা ১৫ নভেম্বর থেকে কাকরাইল মসজিদটি অবৈধভাবে দখল করতে চাচ্ছে, যা সাদপন্থিদের মতে, ধর্মীয় সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিরা আরও জানান, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে ইতোমধ্যে জুবায়েরপন্থিরা অবস্থান নিয়ে থাকেন, কিন্তু সম্প্রতি তারা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থায়ীভাবে মসজিদটি দখল করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এমন পরিস্থিতি দেশব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে পারে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে।
সাদপন্থিরা জানান, সরকারের উচিত দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া, এবং আলেম-ওলামাদের একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। এ ছাড়া তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, রাজনৈতিক কারণে তাবলিগ জামাতের ইস্যু ঘোলাটে করার পেছনে কিছু শক্তির ইন্ধন থাকতে পারে, যা ধর্মীয় সংঘাত তৈরি করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ইমাম মুফতি আজীমুদ্দীন, তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতি মু'আজ বিন নূর, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, এবং জাতীয় ইত্তেহাদুল উলামা ও আইম্মা পরিষদের সভাপতি পীর মুফতী শফিউল্লাহ মক্কি সহ আরও অনেকে।
মতামত