জাতীয়

সেনাবাহিনী মাঠে কতদিন থাকবে, সরকারের সিদ্ধান্তে নির্ভরশীল

সেনাবাহিনী মাঠে কতদিন থাকবে, সরকারের সিদ্ধান্তে নির্ভরশীল

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, দুপুর ২:৪০

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কতদিন, তা নির্ধারণ করবে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি জানান, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে সরকারের এবং তারা সিদ্ধান্ত নেবে সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে।

সেনাবাহিনী মাঠে থাকার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন এবং আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশনায় রয়েছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি যেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড না ঘটে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে না পারে।

তিনি আরও জানান, ৫ আগস্টের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকার পরও ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণাধীন হয়নি। 

কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, এখনকার পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ মূলত পুলিশের দায়িত্ব। তবে, স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।

সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যেখানে আমাদের সহায়তার প্রয়োজন হয়, আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।

এছাড়া, পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে গার্মেন্টস শিল্পে সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান কর্নেল ইন্তেখাব। তিনি বলেন, সরকার পতনের পর সেনাবাহিনী ৬০০-এর বেশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, এবং বর্তমানে দেশের ২০৮৯টি গার্মেন্টস কারখানার অধিকাংশই চালু রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে, চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়ার 'জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত তিন মাসে সেনাবাহিনী ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি জনকে।