কখনো কখনো আমাদের চোখে হাত চলে আসে, তবে এটি কখনই ভালো অভ্যাস নয়। চোখে চুলকানি অনুভব, শুষ্কতা বা ক্লান্তি, যাই হোক না কেন, চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকা উচিত। চোখে হাত দেয়া বা ঘষা কখনও কখনও গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, যেমন চোখের জ্বালা, সংক্রমণ বা দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি। তবে এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর ঝুঁকি।
আমাদের হাত নানা ধরনের বস্তুর সাথে যোগাযোগ করে, যার ফলে সহজেই ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু সংগ্রহ হয়। এই জীবাণু হাতের মাধ্যমে চোখে চলে আসলে চোখের সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি আমরা হাত না ধুয়ে চোখে হাত দিই, তখন এই মারাত্মক জীবাণুগুলো আমাদের চোখে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে কনজেক্টিভাইটিস (পিংক আই) হতে পারে, যা চোখে লালভাব, জ্বালা এবং পানি পড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
যদি চোখ স্পর্শ করার প্রয়োজন হয়, তবে প্রথমে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। এইভাবে জীবাণু প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় এবং চোখের নিরাপত্তা বজায় থাকে।
চোখ ঘষার ফলে যদি কোনওভাবে চোখে খামচি লেগে যায়, তাহলে এটি গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি চোখের শ্লেষ্মা ঝিল্লি বা কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে চোখে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া, চোখ ঘষা সাধারণত শরীরের অন্যান্য অংশে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে।
সতর্কতা: চোখের সমস্যা বা অস্বস্তি অনুভব করলে, হাত না ঘষে, ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর পন্থা।
মতামত