শেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ‘ছানার পায়েস’ পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এই স্বীকৃতির সনদ গ্রহণ করেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
সনদ হাতে পেয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মেলায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং শেরপুরবাসীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে। পাশাপাশি, জেলার ঐতিহ্য ও সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।
খাঁটি গরুর দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় ক্ষীর। দুধ থেকে ছানা কেটে সামান্য ময়দা মিশিয়ে ছোট গুটি তৈরি করা হয়, যা চিনির শিরায় ভিজিয়ে ক্ষীরে মেশানো হয়। কিছুক্ষণ অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু ছানার পায়েস।
শেরপুরে প্রথমে মাত্র কয়েকটি দোকানে এই মিষ্টান্ন তৈরি হলেও এখন জেলাজুড়ে প্রায় ২০টির বেশি দোকানে ছানার পায়েস পাওয়া যায়। জমিদার আমলেও বিশেষ পদ্ধতিতে এই মিষ্টি কলকাতায় পাঠানো হতো। আজও শেরপুরে অতিথি আপ্যায়নে ছানার পায়েসের কোনো বিকল্প নেই।
গত জানুয়ারিতে জেলা ব্র্যান্ডিং বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শেরপুরের ছানার পায়েসকে যাচাইবাছাই শেষে দেশের ৪৪তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে জেলার তুলশিমালা ধানের চালও জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল।
অনুরাধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বাপ্পি দে বলেন, জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত। খাঁটি দুধ ও মানসম্পন্ন উপকরণের কারণে শেরপুরের ছানার পায়েস সব সময় আলাদা। বর্তমানে প্রতি কেজি পায়েস ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টি কিনতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বলেন, আমাদের ছানার পায়েস জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা সবাই খুশি। আজ বিশেষভাবে এই মিষ্টি কিনতে এসেছি।
শেরপুরের ছানার পায়েসের এই স্বীকৃতি স্থানীয় পর্যায়ে যেমন গৌরবের বিষয়, তেমনি জাতীয় পর্যায়েও এটি জেলাকে পরিচিতি দেবে।
মতামত