ছবি : বসন্তেরপলাশ ফুল
গোপালগঞ্জের প্রকৃতি বসন্তের আগমনে পলাশ ফুলের রঙিন পাঁপড়ির সাজে সেজে উঠেছে, যা মুগ্ধতা ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে যে, বসন্ত এসে গেছে।
প্রথমে গ্রামীণ আবহে রাস্তার ধারে হরহামেশাই দেখা যেত পলাশ ফুল। তবে, এখন আর সেই দৃশ্য খুব সহজে পাওয়া যায় না। তবে, গোপালগঞ্জের গামেগঞ্জে এখনো প্রকৃতির রাঙানো গাঢ় লাল রঙের পলাশ ফুলের দেখা পাওয়া যায়।
বসন্তের সুমধুর পাখির কলকাকলি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ডাকে নিজের আপন সুরে। ঋতুরাজের এই রূপ দেখে প্রকৃতিপ্রেমী প্রাণীকূলও মেতে উঠেছে মিলনের আনন্দে।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুটি পলাশ গাছ মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। লাইব্রেরি ভবনের সামনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠ ও শহীদ মিনার চত্বরে পলাশ ফুলের রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়েছে। পলাশ ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে থাকা চওড়া এবং দুটি বাঁকানো পাখির ঠোঁটের মতো অরণ্যের অগ্নিশিখা লাল রঙের পলাশ প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলছে।
এই পলাশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গাছ থেকে ঝরে পড়া পলাশ ফুল প্রিয়তমার হাতে শোভা পাচ্ছে, কেউ কেউ আবার ক্যামেরায় নিজেকে ফ্রেমবন্দীও করছেন।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মানসিতা কবির শিওনা বলেন, পলাশ ও শিমুল ফুল আমাদের প্রকৃতির সেরা উপাদান।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক দাস বলেন, শীতের জড়তাকে কাটিয়ে প্রকৃতিকে আবার রাঙিয়ে তুলতে আমরা পলাশ ও শিমুল ফুলকে দেখতে পাই। তবে বর্তমানে পলাশ ও শিমুল ফুল তেমন দেখা যায় না এবং এগুলি হারিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত বলেন, পলাশ ও শিমুল গাছ প্রায় বাড়িতে বাড়িতে দেখা যেত। তবে নগরায়ণের ছোঁয়ায় এগুলি এখন হুমকির মুখে! এর ফলে পাখিরাও তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলছে।
মতামত