অর্থনীতি

কিশোরগঞ্জের বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, ক্রেতাদের স্বস্তি

কিশোরগঞ্জের বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, ক্রেতাদের স্বস্তি

প্রকাশিত : ৪ মার্চ ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:৩৫

কিশোরগঞ্জের বাজারে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ভোক্তারা। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সবজির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষও নির্দ্বিধায় বাজার করতে পারছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) কিশোরগঞ্জের বড় বাজার ও কাঁচারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। বাজারে শিম ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এ ছাড়া মুশুরির ডাল ১০৫ টাকা, দেশি মুশুর ডাল ১৩৫ টাকা, ছোলার বুট ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১২৫ টাকা, ডিম ৪০ টাকা হালি, সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা লিটার এবং খোলা তেল ১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারের সবকিছুর দামই তুলনামূলকভাবে কম। ৫ হাজার টাকায় কাঁচাবাজার করে বিয়ের আয়োজনও করা সম্ভব।

অন্য এক ভোক্তা হালিমা খাতুন বলেন, রমজান মাসে বাজার দর এভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে, তা আমরা ভাবতেই পারিনি। এবার অন্তত নির্দ্বিধায় সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবে রোজা পালন করতে পারব।

অন্যদিকে, চালের বাজারে দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও মাংসের দামের তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা, কক ২২০ টাকা, লেয়ার কক ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন, মাংসের দাম এখনো বেশ চড়া, যা তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।

সবমিলিয়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও, মাংসের উচ্চমূল্য নিয়ে এখনো হতাশা প্রকাশ করছেন অনেকে।