ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা এবছর চরম বিপাকে পড়েছেন। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে থাকায় উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না তারা। অথচ জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও কৃষি শ্রমিকের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
গত বছর একই সময়ে পেঁয়াজের বাজার ছিল ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা মণ, যা চাষিদের ভালো লাভ এনে দিয়েছিল। এ বছর লাভের আশায় দ্বিগুণ পরিমাণে পেঁয়াজ চাষ করা হলেও, বাজারে দাম অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের চাষি সাচ্চু সরদার জানান, তিনি ১১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। প্রতিবেশী কামরান আলী ৬ বিঘা, সমসের আলী ৮ বিঘা ও সাইদুল ইসলাম ৯ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ফলিয়েছেন। তাদের হিসাবে বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রি করলে বড় অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
ভাওয়াল ইউনিয়নের আরেক চাষি মাহাবুব মোল্যা জানান, এক বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি পেয়েছেন ৬৫ মণ পেঁয়াজ। কিন্তু বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ৮০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা, যা তার বিনিয়োগের চেয়েও কম।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এবছর পেঁয়াজের বীজ ও সেচের খরচ বেশি হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। নিজস্ব জমিতে মণপ্রতি উৎপাদন খরচ প্রায় ৯০০ টাকা এবং লিজকৃত জমিতে ১,৩০০ টাকার কাছাকাছি। তিনি আশা করছেন, মৌসুমের পরবর্তী সময়ে দাম বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন,
মতামত