শিক্ষা

ইবিতে ‘নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে সিয়াম সাধনার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভা

ইবিতে ‘নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে সিয়াম সাধনার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভা

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০২৫, রাত ৯:০৪ আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, রাত ২:০৬

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে সিয়াম সাধনার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন গ্রীণ ফোরামের আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সিনার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আ ছ ম তরীকুল ইসলাম। 

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রীণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্রদল ইবি শাখার সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবু সিনা বলেন, আমাদের বছরের পর বছর কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এখন আমরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে আমাদের সমাজের অবস্থা খুবই খারাপ। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ক্ষমতায় থাকে আরেকজন—তাহলে আমাদের মাঝে প্রকৃত মুসলমানিত্ব কতটুকু রয়েছে? নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সমাজে কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। আমাদের এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেখানে অন্যায়, পাপাচার থাকবে না, যেন মানুষের মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট না হয়। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব। আমরা অশ্লীল কাজ করবো না, শ্লীলতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারবে—এটাই রোজার স্বার্থকতা।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আ ছ ম তরীকুল ইসলাম কোরআন ও হাদিসের আলোকে নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে সিয়াম সাধনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সিয়াম সাধনা অন্যান্য ফরজ ইবাদতের মতোই ফরজ। এর রয়েছে মানসিক, দৈহিক ও সামাজিক নানা উপকারিতা। এটি জান্নাতের এক অপূর্ব উপহার। একটি সুন্দর সমাজ গঠনে সিয়ামের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। আমরা সবাই চাই একটি নৈতিকতাসম্পন্ন সুন্দর সমাজ গড়ে উঠুক। তবে সেই সমাজ গঠনে কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। অথচ আল-কোরআন আমাদের জন্য এক অনন্য গাইডবুক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে, যা গোটা পৃথিবীকে নান্দনিকভাবে গড়ে তোলার পথ দেখায়। এই গাইডবুক মেনে চললে সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের কোনো স্থান থাকবে না।

আলোচনা সভা শেষে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত অতিথিরা সিয়ামের শিক্ষা ও তাৎপর্য নিয়ে নিজেদের মতামত বিনিময় করেন।