ছবি : বাড়ি পাশে কচুপাতার কদর বেড়েছে
এক সময় অবহেলিত ও আগাছা হিসেবে পরিচিত কচু গাছ এখন সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হয়ে উঠেছে পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনাময় এক উৎস। বর্ষা মৌসুমে বাড়ির পাশের পুকুর, ডোবা কিংবা নিম্নাঞ্চলে জন্মানো এই জলজ উদ্ভিদ এখন স্থানীয়দের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত জায়গা করে নিয়েছে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কচুর ডাটা ও পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন-এ ও সি, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন। ফলে এটি শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এখন কচু গাছের যত্ন নিচ্ছেন এবং বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আগেকার দিনে কচু গাছকে আগাছা হিসেবে জমি থেকে তুলে ফেলা হতো। কিন্তু বর্তমানে বাজারে এর উচ্চমূল্য ও চাহিদা থাকায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে বর্ষাকালে বন্যার পানিতে চাষযোগ্য হওয়ায় এটি হয়ে উঠেছে স্বল্প বিনিয়োগে লাভজনক ফসল।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কচুশাক একটি পুষ্টিকর ও সহজলভ্য সবজি। আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা এই উদ্ভিদ চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করতে পারে।
স্থানীয় বাজারগুলোতে এখন কচুর ডাটা, পাতা ও মূলের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে দেখা দিয়েছে।
মতামত