বিএনপি

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া জাতির জাগরণের ধ্বনি, আত্মপরিচয়ের প্রতীক

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া জাতির জাগরণের ধ্বনি, আত্মপরিচয়ের প্রতীক

ছবি : স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া জাতির জাগরণের ধ্বনি, আত্মপরিচয়ের প্রতীক


প্রকাশিত : ৩১ মে ২০২৫, সকাল ৯:১২ আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, দুপুর ১২:১৯

মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে শিবগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ, শহীদ জিয়া ও গণতন্ত্র শীর্ষক” আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম।

শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান অডিটোরিয়াম হলে  অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক, মাহমুদ হোসেন তৌফিক, মহাস্হান মাহীসওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মতিউর রহমান, মহাস্থান শাহ সুলতান বলখী (রহ:) ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, শিবগঞ্জ এমএইচ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান রাজা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান — শুধু একটি নাম নয়। তিনি একটি জাতির জাগরণের ধ্বনি, আত্মপরিচয়ের প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের প্রজ্জ্বলিত আলোকবর্তিকা — যার দীপ্ত আলো আজও জাতির পথ দেখায়। ২৬ মার্চ ১৯৭১-বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয়। মেজর জিয়া যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তখনই রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার আপামর জনতা। তার সেই সাহসী ঘোষণাটি না এলে, হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশ পেতে আমাদের আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হতো। গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, নারীর ক্ষমতায়ন, বৈদশিক নীতি, কৃষি ও শিল্পসহ নানা সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়নসহ দেশের জন্য জিয়ার এ আত্মত্যাগ তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মীর শাহে আলম বলেন, শহীদ জিয়া জাতির দুর্যোগে দেশের হাল ধরেছিলেন। দেশকে বিশ্বের দরবারে উঁচু আসনে বসিয়েছিলেন। শাহাদাত কোনো সাধারণ মৃত্যু ছিল না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র তাঁকে থামাতে চেয়েছিল — কারণ তাঁর হৃদয়ে ছিল অপরিসীম দেশপ্রেম, যা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি অকাতরে উৎসর্গ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের বড় বড় সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতৃত্বে ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। এজন্য ষড়যন্ত্র করে মহান এ নেতাকে হত্যা করা হয়। জিয়া হয়তো নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ বেঁচে আছে, আমাদের চিন্তা-চেতনায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষায়।

তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারন করেই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এ দেশের জন্য চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জিয়া পরিবার। তবুও দেশের মানুষকে ভালবেসে তারা আমাদের পাঁশে আছেন। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। কোন নয় ছয় করলে বিএনপি মানবে না। সম্মান রক্ষা করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন।

এসময় উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওহাব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম তাজুল ইসলামসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, জিয়া পরিষদ, জাসাস ও মৎসজিবী সহ উপজেলা বিএনপি\\'র সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।