গোকুল চন্দ্র রায় বীরগঞ্জ প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রাস্তার ধারের ইউক্যালিপটাস গাছ কাটা নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ আল আমিন ও জেমিয়ন রায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ৭ জুলাই বিকেল ৪টায় বীরগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ আল-আমিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, সম্প্রতি বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নন রেকর্ড ভুক্ত রাস্তার পাশে কিছু ইউক্যালিপটাস গাছ কাটা নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই-এই গাছ কাটার ঘটনায় আমার কিংবা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। ঐ এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, যে তারা আল-আমিন নামে কাউকে চেনেন না এবং কখনো দেখেননি। আমরা মনে করি, একটি স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জনকল্যাণমূলক কাজকে বাধাগ্রস্ত করা এবং আমার ব্যক্তিগত সুনাম নষ্ট করা। আমরা এই ধরণের মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি যাচাই বাছাই ছাড়া, কোনো তথ্য প্রচার করবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই। যারা এই অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত, একদিন তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচিত হবে। প্রয়োজনে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, এবং এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক জেমিয়ন রায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন বানোয়াট ও মনগড়া অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই এই গাছ কাটার সঙ্গে ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই। আমার এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে গাছগুলোকে রোপন করেছেন, তারাই সেই গাছগুলিকে কেটেছেন। আমাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ একটি ইনভেস্টিগেশন করেছে। তারা এ বিষয়ে কোনো সত্যতা পায়নি। সেখানে সরকারি তহসিলদার ও সার্ভেয়ার উক্ত জায়গা ম্যাপ করে জানান, সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। গাছের সাথে সরকার পক্ষের কোন সম্পৃক্ততা নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় গাছ গুলির মূল্য দাবি করা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ১লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করার দরদাম করেছেন মালিকপক্ষ। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা সম্পূর্ণ গাছগুলি বিক্রি করতে পারেননি এবং আমার জানামতে ৩০ হাজার টাকা বায়না বাবদ তারা পেয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ রায়হান মাহি, প্রচেষ্টা ব্লাড ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ছাত্র প্রতিনিধি আবু বক্কর সুমন, ছাত্র প্রতিনিধি ইয়াসিন ইসলাম আবির, ছাত্র প্রতিনিধি সাকিব ইসলাম, কাউসার আহমেদসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ।
মতামত