হাটের একপাশে বিক্রি হচ্ছে গরু আরেক পাশে মেঝেতে পাটি পেরে পরিবেশন করা হচ্ছে গরম ভাত, সুস্বাদু গরুর মাংস আর নানা পদের গ্রামীণ খাবার। দূর থেকে দেখলে মনে হবে—যেন পরিবারের সবাই মিলে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে।
প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে সিরাজগঞ্জের কান্দাপাড়া বাজারে দেখা মেলে এমন ব্যতিক্রমধর্মী খাবার হোটেলের। তবে শুধু এই হাটে নয় সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে আশেপাশের বিভিন্ন হাটে চলে যায় এই অস্থায়ী খাবারের হোটেলটি। হাটের দিন বদলের সঙ্গে বদলায় তার হোটেলের অবস্থান, কিন্তু বদলায় না খাবারের স্বাদ কিংবা মান। তাই তো ভোজনরসিকরা দূর-দূরান্ত থেকেও ছুটে আসেন এই গ্রামীণ খাবারের স্বাদ নিতে।
প্রতি হাটে রান্না হয় প্রায় ২৫ কেজি চাউলের ভাত। টাটকা রান্না হওয়ায় প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিনই শেষ হয়ে যায়। কম দামে পাওয়া যায় গরুর সুস্বাদু মাংস সহ প্রায় ১৫পদের গ্রামীণ খাবার। আর যা খেয়ে খুশি ভোজনরসিকরাও।
এই অস্থায়ী হোটেলের সূচনা করেছিলেন তার বাবা। বর্তমানে তিনি তার ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে চালাচ্ছেন এই গ্রামীণ খাবারের হোটেল। গরু ব্যাপারিদের বেচাকেনার সাথেই জড়িত তাদের ব্যবসা—হাটে গরু বিক্রি ভালো হলে, খাবারের বিক্রিও বাড়ে। প্রতিটি হাটে প্রায় ১০ হাজার টাকার খাবার বিক্রি হয়। মাসে গড়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় করছেন এই চাচা-ভাতিজা।
এই ধরনের অস্থায়ী খাবারের হোটেল শুধু পেটই ভরায় না, গ্রামীণ হাট-সংস্কৃতির অংশ হিসেবেও ভূমিকা রাখে।
মতামত