ভিডিও গ্যালারি

দেশজুড়ে জনপ্রিয় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার! (ভিডিও সহ)

প্রকাশিত : ১ আগস্ট ২০২৫, সন্ধ্যা ৬:৩৫

টেনে টেনে তৈরি হচ্ছে দেশজুড়ে খ্যাতি পাওয়া কুষ্টিয়ার বিখ্যাত সুস্বাদু খাবার তিলের খাজা

ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের কাছে মুখরোচক এই খাবার বেশ প্রিয়। জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী এই তিলের খাজা চার যুগেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

জেলার সীমানা ছাড়িয়ে কুষ্টিয়ার তিলের খাজা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে অনেক আগেই। বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, ফেরিঘাটসহ নানা স্থানে ফেরিওয়ালাদের হাতে পাওয়া যায় এই বিখ্যাত খাবারটি।

বিখ্যাত এই তিলের খাজা মূলত তৈরি হয় কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ার কয়েকটি কারখানায়। বছরের সব মৌসুমেই এখানে তৈরি হয় তিলের খাজা।

তৈরির পদ্ধতিও বেশ কষ্টসাধ্য। তিলের খাজার প্রধান উপকরণ—তিল ও চিনি। প্রথমে বড় লোহার কড়াইয়ে গনগনে আগুনে চিনি জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় শিরা। নির্দিষ্ট ঘনত্বে আসলে চুলা থেকে নামানো হয়। হালকা ঠান্ডা হলে সেই শিরা জমাট বাঁধে। এরপর শিংয়ের মতো দো ডালা গাছের সঙ্গে হাতে টেনে টেনে প্রসারিত করা হয় জমাট বাঁধা চিনির শিরা। ধীরে ধীরে বাদামি রং থেকে এটি সাদা রঙে রূপ নেয়।

এই সময় কারিগরেরা বিশেষ কায়দায় শিরাটিকে হাতের ভাঁজে ভাঁজে টেনে এর ভিতরে ফাঁপা অংশ তৈরি করেন। একপর্যায়ে নির্দিষ্ট মাপে কেটে তাতে মেশানো হয় খোসা ছাড়ানো তিল। এভাবেই তৈরি হয় সুস্বাদু ও খাস্তা তিলের খাজা।

প্রতি কড়াইয়ে ব্যবহৃত হয় ৭ কেজি চিনি, আধা লিটার দুধ, ৪ লিটার পানি, দেড় কেজি তিল এবং প্রয়োজনমতো এলাচ। এতে তৈরি হয় প্রায় ৮ কেজি খাজা।

কয়েক যুগের বেশি সময় ধরে কুষ্টিয়ার মিলপাড়ায় এসব খাজার কারখানা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। হাতে তৈরি এসব খাজা সাধারণত রাতে প্রস্তুত হয় এবং পরের দিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন বাজার ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্রি হয়।