ভিডিও গ্যালারি

বিনামূল্য খাইয়ে আয় লাখ লাখ টাকা! (ভিডিও সহ)

প্রকাশিত : ৭ আগস্ট ২০২৫, সকাল ৯:০০

রান্না-বান্নার এ এলাহী কাণ্ড দেখে মনেই হতে পারে এটা কোনো বিয়ে অথবা অন্য কোনো আনন্দ-উৎসবের আয়োজন চলছে। কিন্তু না—এ আয়োজন শুধুই গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে খাওয়ানো এবং তা ভিডিও করে ইউটিউবে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে। আর সেই ভিডিও থেকেই আয় হয় লাখ লাখ টাকা। 

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রাম, যা এখন দেশ-বিদেশে পরিচিত ‘ইউটিউব ভিলেজ’ নামে। এরই মধ্য ইউটিউব ভিলেজের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের জেলায়। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ দেখতে ছুটে আসছেন অনেকেই আর তাদের জন্য ৪০ বিঘা জমিতে নির্মিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর ইউটিউব পার্ক। 

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পেছনে আছেন প্রকৌশলী লিটন আলী খান ও তার মামা স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। ২০১৬ সালে এক পিকনিকে রান্নার ভিডিও ধারণের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু। পরে ‘Around Me BD’ নামে ইউটিউব চ্যানেল খুলে শুরু হয় কনটেন্ট নির্মাণ। প্রথমে ছোট পরিসরে কয়েকজনকে খাওয়ালেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই আয়োজন হয়ে ওঠে ব্যাপক।

সপ্তাহে দুই-তিন দিন চলে এই মহাযজ্ঞ। সকাল থেকে বাজার করা, দুপুরে রান্না, বিকেলে খাবার পরিবেশন এবং সেই মুহূর্তগুলো ভিডিও করে ধারণ করা হয়। আর এই নানা স্বাদের খাবার খেতে ছুটে আসেন গ্রামের মানুষজন, যাদের খাইয়ে আনন্দ খুঁজে নেন উদ্যোক্তারা।

প্রতি মাসে আয় হচ্ছে 5 থেকে 6 লাখ টাকা। আয়কৃত অর্থ শুধু উদ্যোক্তাদের জন্য নয়—এর একটি বড় অংশ ব্যয় করা হচ্ছে গ্রামের অসহায়, দরিদ্র মানুষদের জন্য। 

এই ইউটিউব আয়ের টাকায় গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। রান্নার দলে আছেন বেতনভুক্ত বয়স্ক পুরুষ, নারী কর্মী ও ক্যামেরাম্যান। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট নানা কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন শতাধিক কর্মচারী।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এই কাজের মধ্য দিয়ে তাঁরা শুধু অর্থ উপার্জন করছেন না, বরং তুলে ধরছেন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও গ্রামীণ সংস্কৃতি—সেটাও আবার বিশ্বদরবারে।