তৈরি করা হচ্ছে ব্যতিক্রম ধর্মী অদ্ভুদ সুস্বাদু খাবার পাঙ্গাস মাছের পায়েস।
শুধু পাঙ্গাস মাছের পায়ের নয় সাজনাই পাতার রুটি, কাঁকড়ার খিচুড়ি, গরুর ভুঁড়ির পায়েস সহ অদ্ভুদ ধরণের আরো ব্যতিক্রম খাবার তৈরি করে সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড তাহ থেকে প্রতিমাসে আয় করছে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ্য টাকা।
এমন অদ্ভুত ব্যাতিক্রমী খাবার রান্নার ভিডিও তৈরি করছেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পুস্তুিগাছা গ্রামের মৃত রমজান ডাক্তারের দুই ছেলে হারুন আর রশিদ ও আশরাফুল ইসলাম।
ছোট ভাই আশরাফুল প্রথমে ফানি ভিডিও বানালেও তেমন সাড়া পাননি। পরে বড় ভাই হারুনকে দিয়ে মুড়ি বানানোর ভিডিও ছাড়লে সেটি বেশ সাড়া ফেলে। এরপর থেকেই শুরু হয় ব্যতিক্রমী রান্নার পথচলা। একে একে তারা বানাতে থাকেন ইলিশ মাছের ডাল, সাজনাই পাতার রুটি, নিমপাতার রুটি, গরুর মাংসের স্যুপসহ নানা পদের খাবার। আর এসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে এখন দুই ভাই প্রতি মাসে আয় করছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা।
হারুন আর রশিদ রান্না করেন আর ছোট ভাই আশরাফুল সেটি ক্যামেরায় বন্দি করেন। ভিডিও ধারণ থেকে শুরু করে সম্পাদনা ও প্রকাশের সব কাজই আশরাফুল ইসলাম করেন। তাইতো তাদের পেজের নাম দিয়েছে Asraful’s Recipe World।
ছোটবেলায় মা’কে হারানোর পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন আপন খালাকে। সেই খালার হাতেই বড় হতে থাকেন হারুন আর রশিদ। ছোট থেকেই রান্নার প্রতি তার আলাদা ঝোঁক তৈরি হয়। সেই ঝোঁক থেকেই তিনি নানান উপাদান দিয়ে ভিন্নধর্মী খাবার বানাতে শুরু করেন।
তার হাতে তৈরি এসব খাবার যেমন অদ্ভুত, তেমনি সুস্বাদুও। তাইতো যেদিন রান্না হয়, সেদিন তাদের বাড়ি পরিণত হয় উৎসবের আমেজে। আশেপাশের মানুষ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন রান্না দেখতে, শিখতে এবং স্বাদ নিতে।
প্রথম দিকে এই রান্না নিয়ে প্রতিবেশীদের বিদ্রুপের হাসি ও তামাশার চোখে পরতে হয়ছে হারুনকে, যখন থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের রান্না ভাইরাল হতে শুরু করল, ভিডিওতে লাখ লাখ ভিউ আসতে লাগল, তখন সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। এখন তারাই ভিড় করেন রান্না দেখার জন্য।
হারুন আর আশরাফুলের এই সৃজনশীলতা প্রমাণ করেছে—যদি ইচ্ছা ও পরিশ্রম থাকে, তবে অদ্ভুতকেও সফলতায় রূপান্তর করা সম্ভব।
মতামত