বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে হলে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য এ এস এম গোলাম হাফিজ।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হলে হল ও কেন্দ্র প্রধান, আহ্বায়ক এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের আন্তরিকতা অপরিহার্য। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে আয়োজিত ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট-২০২৪ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান। এছাড়াও ২৮টি কেন্দ্রের হল প্রধান, আহ্বায়ক, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।
বিপিএসসির আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুন্নাহার শেফার সঞ্চালনায় শুরুতে পরীক্ষা-সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন উপস্থাপন করা হয়। জানা যায়, ময়মনসিংহের ২৮টি কেন্দ্রে মোট ৩০,৩৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
সভায় পুলিশ সুপার জানান, পরীক্ষার দিন ১৯টি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং জালিয়াতি প্রতিরোধে তারা সর্বদা তৎপর থাকবে। সিভিল সার্জন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার সকলকে নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি গোলাম হাফিজ বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণার চেষ্টা হতে পারে, তাই তল্লাশির সময় সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, কোনো পরীক্ষার্থী মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অলংকার বা মানিব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। নিয়ম অমান্য করলে নীরব বহিষ্কারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেমিনারের সমাপনীতে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পিএসসি’র পরীক্ষা একটি রাষ্ট্রীয় জাহাজের মতো, যার কান্ডারী আপনারা। তাই এই পরীক্ষাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সকলের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য।
মতামত