শিক্ষাঙ্গন

‘এদেশে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার বিস্তার নেই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা’ —ড. সলিমুল্লাহ খান

‘এদেশে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার বিস্তার নেই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা’ —ড. সলিমুল্লাহ খান

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ৮:৪৮

লেখক, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, আমাদের দেশে এখনও প্রাথমিক স্তরে নিরক্ষরতা দূর হয়নি। সরকারি হিসেবেই শতকরা ২৬ জন লোক নাম স্বাক্ষর করতে পারে না। কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় নেমেছি। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার বিস্তার না ঘটিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লড়াই চালানো হচ্ছে।

রোববার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও কলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমরা বাংলায় কথা বললেও বাংলা ভাষাকে নতুন প্রাণ দিতে কিছু করছি না। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে মাতৃভাষায় শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যম তৈরি হয়েছে বলে জ্ঞান বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে বইপত্র ও জ্ঞানচর্চার অভাবে এখনও বহু মানুষ শিক্ষিত হতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তদান ও আত্মত্যাগ পূর্বের শাসনে যথাযথ স্বীকৃতি পায়নি। এর পরিণতি শুভকর হয়নি। যারা দেশত্যাগ করেছে বা আত্মগোপনে রয়েছে, তারা ফিরে এলে আরও তীব্র অসহিষ্ণুতার জন্ম দিতে পারে। শাসনব্যবস্থার পতনের মূল কারণ হলো শাসকশ্রেণীর আত্মভ্রম। তারা মনে করে তাদের প্রতিটি কাজই সঠিক, অন্য সব মতই ভুল—এই ভাবনা থেকেই অবক্ষয় শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের পুরস্কার প্রদান, নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।