বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের জনগণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায়, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য চায়। যাতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো আবার কোনো দল বা গোষ্ঠী ফ্যাসিস্টরূপে আবির্ভূত হতে না পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পিআর পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার। সেই সংস্কার বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন আয়োজন মানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করা। জামায়াত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় পৌর শহরের ১নং জেটি চত্বরে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। শুধু জামায়াত নয়, দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এই দাবিতে আন্দোলন করছে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সবার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যদি পেশীশক্তি ও কালো টাকামুক্ত একটি মানসম্পন্ন পার্লামেন্ট গঠিত হয়, তাহলে কোনো দলের ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে না। তাই তারা পিআর ঠেকাতে চায়। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ জাতি এই দাবিগুলো পূরণ করেই ছাড়বে।
সমাবেশ শেষে ১নং জেটি থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর মার্কেট চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মিছিলে পৌর ও বিভিন্ন থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহ হাজারো জনশক্তি অংশ নেন।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোংলা পৌর আমীর এম এ বারীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোঃ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বাগেরহাট জেলা শাখার নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, সহ-সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, পৌর নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা মনিরুজ্জামান এবং মোংলা পৌর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম।
মতামত