সারাদেশ

নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় কবিরাজ আটক

নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় কবিরাজ আটক

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ৮:০৫

নওগাঁয় স্কুল পড়ুয়া দু'জন ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক কবিরাজকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ধর্ষণের এঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া বাজারের কড়ইপট্টি এলাকায় কবিরাজের ঐষুধের দোকান ঘরে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মান্দা থানায় পৃথক দুটি মামলা হওয়ার পর মান্দা থানা পুলিশ শুক্রবার আটককৃত কবিরাজকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরন করেছেন এবং স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ভিকটিম দু'জন ছাত্রীকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আটককৃত কবিরাজ হলেন, মান্দা উপজেলার দেবিপুর গ্রামের সাভার আলী (৫৫)। তিনি মান্দার চৌবাড়িয়া বাজারের কড়ই পট্টিতে ভেযজ ঐষুধের দোকানী। মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলাকার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর পেটে ব্যাথা হলে ঐ ছাত্রী তার সহপাঠীকে সাথে নিয়ে কবিরাজ সাভার আলীর ভেযজ ঐষুধের দোকানে গেলে পেট পরিক্ষার নামে কবিরাজ সাভার আলী ছাত্রীর সাথে যাওয়া তার সহপাঠীকে চেম্বারে বসে রেখে ছাত্রীকে গোপন কক্ষে নিয়ে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করা হয় এরপর বাহিরে বসে রাখা তার বান্ধবিকেও কৌশলে গোপন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন কবিরাজ। ভিকটিম এক ছাত্রী বলেন, প্রথমে আমাকে বাহিরে চেম্বারে বসে রেখে বান্ধবিকে ঘরের ভেতর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে বান্ধবীর কি সমস্যা হয়েছে সেটি বলার জন্য আমাকেও গোপন কক্ষে ডেকেনিয়ে আধা ঘন্টার ব্যবধানে ধর্ষণ করেন কবিরাজ। সেখান থেকে আসার পরই জানতে পারি আমাদের দু' জনের সাথেই এ কাজ করেছে যা লোক-লজ্জায় গোপন রাখি কিন্তু এক পর্যায়ে অপর সহপাঠিদের কাছে বললে তাদের সহযোগীতা পেয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পরই বাজারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে সাভার কবিরাজের চেম্বারে হামলা করে মারধর করে ঘটনার সংবাদ পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে কবিরাজকে পুলিশি হেফাজতে থানায় নেয়। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, ঐ ঘটনায় দুই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন সেই মামলায় সাভার কবিরাজকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।