ছবি : সংগৃহীত
১৯৬০ সালের ৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) প্রথমবারের মতো পিল ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পদ্ধতি শুধু জন্মনিয়ন্ত্রণ নয়, বরং গাইনোকলজি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পিল খেলে মোটা হয়?
→ গবেষণায় প্রমাণ নেই। কিছু ক্ষেত্রে শরীরে সাময়িক জলীয় পদার্থ জমতে পারে, তবে কয়েক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। আধুনিক পিলে এই সমস্যা প্রায় নেই।
মুড সুইং হয়?
→ কিছু নারীর ক্ষেত্রে মেজাজ পরিবর্তনের প্রবণতা দেখা দিতে পারে, কারণ পিল মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে স্বল্পমাত্রার পিলে প্রভাব অনেক কম।
পিরিয়ড অনিয়মিত হবে?
→ উল্টো: অনিয়মিত বা অতিরিক্ত রক্তস্রাব, তলপেটে ব্যথা, এন্ডোমেট্রিওসিস, সিস্ট ইত্যাদির চিকিৎসায় পিল ব্যবহার করা হয়।
সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়?
→ ভুল ধারণা। পিল বন্ধ করার পর সাময়িকভাবে পিরিয়ড দেরি হতে পারে, তবে প্রজনন ক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
ধরনব্যবহার
সাধারণ পিলনিয়মিত সেবন, যৌনসম্পর্ক হোক বা না হোক
ইমার্জেন্সি পিলঅরক্ষিত যৌনমিলন বা বিশেষ পরিস্থিতিতে, সাধারণত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করা হয়
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি শুধু গর্ভনিরোধ নয়, বরং নারীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানেও কার্যকর। তবে এটি সঠিকভাবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ব্যবহার করা জরুরি। ভুল ধারণার চেয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও চিকিৎসকের নির্দেশনাই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।
মতামত